ঈমান বিদ্ধংশি ভয়ংকর সংগঠন হিজবুত তাওহীদ। ইনভেস্টিগেট- তালাশ টিম
হিযবুত তাওহীদ নামক সংগঠনটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তালিকায় কালো তালিকাভুক্ত। গোয়েন্দা নজরদারিতে আছে সংগঠনটি। যে কোনদিন এই সংগঠনটি নিষিদ্ধ করা হতে পারে। রাষ্ট্রবিরোধী ও জঙ্গীবাদ তৎপরতায় লিপ্ত থাকার অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে সংগঠনটির বিরুদ্ধে। হিযবুত তাহরীর নামে একটি সংগঠনকে জঙ্গী তৎপরতায় নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হিযবুত তাওহীদের নামের সঙ্গে হিযবুত তাহরীর নামের সাদৃশ্য থাকার সুযোগে জঙ্গীরাও রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় যুক্ত হচ্ছে বলে তথ্য রয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হিযবুত তাহরির নামক জঙ্গী সংগঠনটি নিষিদ্ধ করার পর তৎপরতা বাড়িয়ে দিয়েছে হিযবুত তাওহীদ নামক সংগঠনটি। সম্প্রতি নোয়াখালীতে গ্রামবাসীর সঙ্গে হিযবুত তাওহীদের কর্মীদের প্রকাশ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের ঘটনায় বেশ কয়েকজন হতাহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এই সংঘর্ষ মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে খুবই বেগ পেতে হয়েছে। তারপর থেকেই আবারও আলোচনায় আসে হিযবুত তাওহীদ নামক সংগঠনটির তৎপরতার বিষয়টি।
গত বছর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জঙ্গী সংক্রান্ত এক বৈঠকে হিযবুত তাওহীদ ও আনসারুলাহ বাংলা টিমকে নিষিদ্ধ করার আগে সংগঠন দুটির বিষয়ে গোয়েন্দাদের আরও পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু গত এক বছরেও হিযবুত তাওহীদকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তবে গোয়েন্দা নজরদারিতে আছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর খাতায় কালো তালিকাভুক্ত হয়ে আছে সংগঠনটি। নিষিদ্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে গোয়েন্দা, গণমাধ্যমসহ কয়েকটি পর্যায়ে নিজেদের সংগঠনের ব্যাপক প্রচার ও তৎপরতা করেছে হিযবুত তাওহীদ। গত বছর সরকারের পক্ষ থেকে হিযবুত তাওহীদকে কালো তালিকাভুক্ত করে চিঠিও দেয়া হয়েছে।
গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানান, নোয়াখালীতে প্রকাশ্যে সহিংস সন্ত্রাসী তৎপরতায় লিপ্ত হওয়ার পর হিযবুত তাওহীদ সংগঠনটি সম্প্রতি রাজধানীসহ সারাদেশে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেছে। ব্যানার, লিফলেট, হ্যান্ডবিল, বই, ডকুমেন্টারিসহ তারা নানা প্রচার কার্যক্রম চালাচ্ছে। জঙ্গীবাদ বিষয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠা এ সংগঠনের বিরুদ্ধেই মৌলবাদী প্রচারসহ জঙ্গীবাদের অভিযোগ আছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যেসব সন্দেহভাজন সংগঠন নিষিদ্ধকরণের পর্যলোচনার তালিকায় আছে, তাদের মধ্যে অন্যতম হিযবুত তাওহীদ।
প্রকাশিত : ৫ এপ্রিল ২০১৬
দৈনিক জনকন্ঠ
Comments
Post a Comment