ওয়াসিফের জংগি এতাতিদের অপপ্রচারের জবাব। দ্রুত বাংলা ভাষাভাষির কাছে শেয়ার করি
কাকরাইল মসজিদ, ঢাকা।
ইংরেজি: ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮
হিজরি: ৭ রবিউস সানী, ১৪৪০
“ মূল
নয়, ভুল ধারার জামাত-এর মিথ্যা ঘোষণাপত্রের প্রতিবাদ ”
সর্ব সাধারণের সদয় অবগতির জন্য
জানানো যাচ্ছে যে, বাংলাদেশের সহজ-সরল,নিরীহ ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমান
সম্প্রদায়কে তাবলীগের নামে বিভিন্ন ভাবে বিভ্রান্ত করে কোরআন-সুন্নাহ,ইসলামী আখলাক
ও আকীদা পরিপন্থী মতবাদ প্রতিষ্ঠায় শান্তি প্রিয় দেশবাসীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি এবং
দেশের শান্তি-শৃংখলা বিনষ্টে মুষ্টিমেয় ব্যক্তিবর্গ তৎপর আছে। যারা কক্সবাজার,নাটোর, ব্রাম্মনবাড়িয়া,চাঁদপুর,যশোহর সহ
দেশের বিভিন্ন স্থানে মসজিদের মধ্যে ওলামায়ে কেরামগণকে লাঞ্ছিত ও রক্তাক্ত করেছে।
অতঃপর ০১-১২-২০১৮ তারিখে রক্তাক্ত টঙ্গি বিশ^
ইস্তেমা ময়দানে খুন, লুন্ঠন,সন্ত্রাস।
তারই ধারাবাহিকতায় বিভ্রান্তকারী
জামাতের অন্যতম মাওলানা মোশাররফ হোসেন বিগত ০৫-১১-২০১৮ তারিখে “ঘোষণাপত্র/
সরকারী অফিস ” স্মারকে এক
মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর পত্র প্রচার করেন। মুসলামান হিসাবে সে বিষয়ে সচেতন থাকা ও
দেশবাসীকে সতর্ক করা প্রত্যেকের একান্ত ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য। বিশেষতঃ দেশ ও
দুনিয়ার মুসলমানের ঈমানের হেফাজতে নবী (সঃ)এর ওয়ারিশ হিসাবে আলেম সমাজের দায়বদ্ধাতা
সীমাহীন বিধায়,মুসিলম সম্প্রদায়ের সচেতনে ও ঈমানের হেফাজতে সত্য,সঠিক ও তথ্য
নির্ভর প্রকৃত ঘটনা প্রকাশ এবং ভ্রান্ত আকীদার মাওলানা মোশাররফ হোসেন-এর
বিভ্রান্তিকর ঘোষণাপত্রের ছোবল থেকে ঈমান হেফাজতে নিম্নরুপে জবাব প্রদান করা গেলঃ
(১) বিতর্কিত মাওলানা সা’দ ঈমান ও
ইসলাম এবং দাওয়াত-ই-তাবলীগ মেহনত পরিপন্থী কর্মকান্ডে সংশ্লিষ্ট বিধায় দিল্লীর
নিযামুদ্দিনের কোন সিদ্ধান্ত অনুসর না করে স্বতন্ত্র দেশ হিসাবে বাংলাদেশের
তাবলীগের কাজ পরিচালিত হবে মর্মে বিগত ১৭-০২-২০১৮ তারিখে গৃহীত সিদ্ধান্তে মাওলানা
মোশাররফ হোসেনসহ কাকরাইলের অপর ৬ জন শুরা/সদস্য স্বাক্ষর করেন। পরবর্তী কয়েক
সপ্তাহ পরে মাওলানা মোশাররফ ঈমান-আকীদা ও লজ্জা-সম্মান এবং সকল প্রকার শালীনতা
বিসর্জন দিয়ে নোটারী পাবলিক সম্মুখে হলফনামা সম্পাদন করে ঘোষণা দেন যে,নিযামুদ্দিন
ও বিতর্কিত মাওলানা সা’দকে তিনি আজীবন এতেয়াত করবেন।
(২) স্বয়ং-ক্রিয়
বিশ্ব আমীর পর্বঃ মাওলানা মোশাররফ হোসেন-এর চিঠির ২নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত স্ব-ঘোষিত নয়, বরং ১৯৯৫
সালে তৃতীয় হযরতজীর ইন্তেকালে বিতর্কিত মাওলানা সা’দ সহ তিন জনকে দায়িত্ব প্রদানের
দাবী সম্পুর্ণ রুপে মিথ্যা। তাবলীগের কাজ বিশ^ব্যাপী সুষ্ঠুভাবে পরিচালনে ১৯৯৩
সালে ৩ দেশের ১০ জন নিয়ে বিশ^ পর্যায়ের শুরা গঠিত হয়। নিযামুদ্দিন মার্কাজের দৈনন্দিন
কাজ পরিচালনের জন্য তন্মধ্যে ৫ জন নিয়ে স্বতন্ত্র একটি শুরা গঠিত হয়। তন্মধ্যে ৩
জনকে পালাক্রমে সিদ্ধান্তকারী (ফয়সাল) নিযুক্ত করা হয়।
১৯৯৫ এ তৃতীয় হযরতজী মাওলানা
ইনামুল হাসান (রহঃ) ইন্তেকালে ১০ জুন,১৯৯৫ তারিখে উল্লেখিত ১০ জন শুরা ও বিশে^র বিভিন্ন
দেশ হতে আগত জিম্মাদারগণ এর উপস্থিতিতে তাবলীগের মেহনত বিশ^ব্যাপী ১৯৯৩
সালে গঠিত শুরার মাধ্যমে পরিচালিত হবে এবং কেহ একক আমীর হবেন না মর্মে সিদ্ধান্ত
হয়। বিষয়টির উত্থাপনকারী ছিলেন বিতর্কিত মাওলানা সা’দ।
(ক) মাওলানা মোশাররফ হোসেন-এর বর্ণনা মতে ১৯৯৫ সালে একই সাথে তিন জন আমীর হওয়া
নির্বোধ ও বিবেকহীন ভ্রান্তের দাবী। যা “
আমীর”- এর সংজ্ঞা ও প্রচলিত নিয়মের সাথে
হাস্যকর। একই সাথে তিন জন আমীর নিযুক্তির দাবী সম্পূর্ণরুপে মিথ্যা।
(খ) বিতর্কিত মাওলানা সা’দ
স্বয়ং-ক্রিয়ভাবে বিশ^ আমীরে পরিণত হলে ২০১৪ সালের মাওলানা যুবায়েরুল হাসান
(রহঃ) মৃত্যুর পর মূহূর্ত থেকে আমীরে পরিণত হতেন। কিন্তু, তা হয় নি কেন
?
(গ) স্বয়ং-ক্রিয়ভাবে পরিণত বিশ^
আমীর বিতর্কিত মাওলানা সা’দ কেন ২৩
আগষ্ট,২০১৫ এ নিজেকে বিশ^ আমীর ঘোষণা করলেন?
এবং তাকে আমীর না মানলে জাহান্নামে যাও
বলে হুমকি দিলেন?
(ঘ) ২০১৫ শেষ ভাগে রাইবেন্ড ইজতেমায় উপস্থিত বিশে^র সকল দেশের
মুরুব্বী (শীর্ষ স্থানীয়) গণ সম্মুখে কেন স্বীকার করেন ২৩ আগষ্ট,২০১৫ তারিখে
উত্তেজনা বশতঃ নিজেকে বিশ্ব আমীর ঘোষণা দেন ?
কেন ওই ঘটনার জন্য তিনি লজ্জিত মর্মে
প্রকাশ করেন?
(ঙ) স্বয়ং-ক্রিয় আমীর হলে কেন ৮ ডিসেম্বর,২০১৫ অল
ইন্ডিয়া জোড়ে বিশ্ব আমীর নিযুক্তির অনুমোদন আবশ্যক হবে?
(চ)বিশ্ব আমীর নিযুক্তির অনুমোদন কেন বিশ^ পর্যায়ের কোন
অনুষ্ঠানে বা জোড়ে না হয়ে কেবলমাত্র একটি দেশের জোড়ে হবে?
(ছ) স্বয়ং-ক্রিয় বিশ্ব
আমীর হলে কেন ২০১৭ সালের টঙ্গি বিশ্ব ইজতেমায়
পুনরায় অনুমোদন আবশ্যক হবে ?
(গ) উক্ত সভায় কাকরাইল মারকাজ
তথা সমগ্র বাংলাদেশে দাওয়াত-ই-তাবলীগের কাজ সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করতে দেশ বরেণ্য
ওলামা হযরত গণের সমন্বয়ে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কাকরাইল শূরা উপদ্ষ্টো কমিটি গঠন এবং
মাওলানা সা’দ বিষয়ে দেওবন্দ মাদ্রাসার লিখিত মতামত ও জানুয়ারী ২০১৮ এ অনুষ্ঠিতব্য
বিশ্ব ইজতেমায় শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ উপস্থিতি প্রচেষ্টায় ৫ সদস্য বিশিষ্ট
প্রতিনিধি দল গঠিত হয়। সরকার নির্ধারিত ৫ সদস্যের কমিটি ২৪-১২-২০১৭ তারিখে ভারত
গমন ও ২৯-১২-২০১৭ তারিখে ফেরৎ আসেন। মাওলানা সা’দ বিষয়ে দেওবন্দ মাদ্রাসার লিখিত
মতামতসহ ৫ জন প্রতিনিধির স্বাক্ষরিত একটি লিখিত প্রতিবেদন মাননীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয়ের নিকট হস্তান্তর করেন।
(ঘ) পরবর্তী ২০১৮ এর বিশ^ ইজতেমা
সুষ্ঠু ও শান্তিপপূর্ণ ভাবে সম্পন্নের উদ্দেশ্যে দেশ বরেণ্য ওলামায় কেরাম এর
সমন্বয়ে গঠিত ৫ সদস্যের শূরা উপদেষ্টা কমিটি ও কাকরাইল মারকাজের শূরা সদস্যগণ, গঠিত ৫ সদস্য
প্রতিনিধি দল ও তদীয় দাখিলী প্রতিবেদন ও দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার লিখিত
অবস্থান পর্যালোচনায় বিগত ৬-০১-২০১৮ তারিখে মাননীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়ের
সভাপত্তি¡তে অনুষ্ঠিত সভায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের ৩ জন সচিব, এন.এস.আই
প্রধান, ডিজিএফআই প্রধান, এসবি’র প্রধান, পুলিশ কমিশনার,
আরও গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ উপস্থিত
থাকেন।
(ঙ) অতঃপর গত ০৭-০১-২০১৮ তারিখে
অনুষ্ঠিত সভায় বিতর্কিত মাওলানা সা’দ কে বিশ্ব
ইজতেমা,২০১৮ এ অংশ গ্রহণ দ্বীন ও ইসলাম,ঈমান ও
তাবলীগের স্বার্থ এবং দেশের শান্তি শৃংখলা পরিপন্থী বিবেচিত হওয়ায় বিশ্ব ইজতেমা, ২০১৮ এ অংশ
গ্রহণের সুযোগ প্রদান করা হবে না মর্মে ঘোষিত সিদ্ধান্ত উক্ত তারিখ বিকালে বিভিন্ন
গণমাধ্যমে প্রচারিত হয়।
(চ) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ
সরকারের উপরি বর্ণিত সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা ও অসম্মান করে, দেশের সকল
(মুষ্টিমেয় সংখ্যক বাদে) ওলামা হযরত গণের মতামত ও অনুরোধ এবং ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের
সংবেদনশীল ধর্মীয় অনুভ‚তি ও ভাবাবেগের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শন করে বিগত
১০-০১-২০১৮ দুপুরে বিতর্কিত মাওলানা সা’দ বাংলাদেশে আসেন। কিন্তু, ধর্মপ্রাণ দেশবাসীর সংবেদনশীল
ধর্মীয় অনুভ‚তিতে আঘাতকারী মাওলানা সা’দ কে বিশ্ব ইজতেমায়
সমবেত লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাবেশে বক্তৃতা প্রদান হইতে বিরত রাখা অত্যন্ত যুক্তি সংগত
বিবেচনায়,তাকে নিজ দেশ ভারতে ফেরৎ পাঠানো হয়।
উক্তরুপে বাংলাদেশ সরকার ও দেশবাসীর
কাছে অবাঞ্চিত ও প্রত্যাখাত মাওলানা সা’দ এর কোন সিদ্ধান্ত দেশ, জাতি, জনগণ ও কোন মুসলামনের
কাছে শুধু গুরুত্বহীন ও গ্রহণীয় নহে,বরং বিতর্কিত মাওলানা সা’দ এর অনুসরন ইসলাম নিষিদ্ধ মর্মে
শীর্ষস্থানীয় ওলামা হযরতগণ লিখিত ভাবে দেশবাসীকে অবহিত করেন। বিধায়, মাওলানা
মোশাররফ হোসেন-এর ঘোষণাপত্রের ৪ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত নিযামুদ্দিন মান্যকারীগণই
শুধু শুরা ও ফয়সাল এবং উক্ত অনুচ্ছেদে উল্লেখিত
আইন সমূহের উদ্ধৃতিও সম্পুর্ণরুপে বিভ্রান্তিকর, দেশ ও জাতি এবং অপামর মুসলমানের
জন্য শুধু অপমান ও অবমাননাকরই নয়, বরং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
(ছ) ১৯৯৩ সালে হযরত মাওলানা
ইনামুল হাসান (রহঃ)-এর গঠিত ১০ জন শুরা মধ্যে ৩ জন ইন্তেকাল পরবর্তীতে বিদ্যমান
অপর বিশ্ব শুরাগণের সর্বসম্মত সিদ্ধান্তে কাকরাইল মার্কাজ মসজিদ তথা
বাংলাদেশের শুরাগণ নিযুক্ত হন।
(জ) দাওয়াত-ই-তাবলীগের মেহনত
ব্যক্তি ও পারিবারিক সম্পত্তি নয়। সরকার ও দেশবাসী দ্বারা প্রত্যাখাত বিতর্কিত
মাওলানা সা’দ কোন শুরা নিয়োগ,বর্জন,পদ মর্যাদা পরিবর্তন বা পরিবর্ধনে কোন অধিকার সংরক্ষন
করেন না বিধায়, ১৯৯৩ সালে গঠিত বিশ্ব শুরা দ্বারা নির্বাচিত/মনোনীত
শুরা ও ফয়সালগণ যথাক্রমে-মাওলানা মোহাম্মদ জোবায়ের, মাওলানা রবিউল হক, মাওলানা
মোহাম্মদ হোসেন,মাওলানা মোহাম্মদ ফারুক ও মাওলানা মোহাম্মদ ওমর ফারুক
(দাঃবঃ) গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যথাযথ মূল্যায়নে বিশ্বের অন্যান্য দেশের
শুরাগণের ন্যায় পূর্বাপর দাওয়াত-ই-তাবলীগের মূলধারার
মেহনতে ও সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে পূর্বাপর বহাল আছেন।পক্ষান্তরে,বিভ্রান্তকারী
মাওলানা মোশাররফ হোসেন,খান শাহাবুদ্দিন নাসিম,ওয়াসিফুল ইসলাম, ইউনুস শিকদার
সহ নোটারী পাবলিককৃত হলফনামা মুলে বিতর্কিত মাওলানা সা’দ বরাবরে
আজীবনের জন্য ঈমান সমার্পনকারী ও অন্যান্য ব্যক্তিগণ দাওয়াত-ইতাবলীগ হতে বের হয়ে স্বয়ং-ক্রিয় আমীরের অধীনে “এতেয়াতে নিযামুদ্দিন এ পরিণত হয়েছেন বিধায়, দাওয়াত-ই-তাবলীগের সাথে তারা সম্পর্কহীন। কিন্তু,অত্যন্ত
ঘৃণ্য ও কদর্য ভাবে দেশ ও জাতির কাছে মিথ্যা তথ্য প্রদানে আন্তর্জাতিক ভাবে
সম্মানিত দেশবরেণ্য ওলামা হযরতগণকে হেয় প্রতিপন্ন করছেন। যদ্দারা মুসলমান ভাই-ভাই
এর মধ্যে বিভেদ ও বিরোধ সৃষ্টির কারণে মাওলানা মোশাররফ হোসেন ফৌজদারী আমলযোগ্য
অপরাধে লিপ্ত আছেন।
(৫) লেটার
হেড/প্যাড ও কাকরাইল মার্কাজের নাম ঠিকানা পরিবর্তন পর্বঃ
অপরাধ বিজ্ঞানের উদ্ধৃতি দিয়ে
বলা যায়,দৃশ্যমান আয় বর্হিভ‚ত কোটি কোটি টাকা ব্যয় (নিজ গ্রামে,কুড়িগ্রাম
জেলায়) প্রাসাদ নির্মাণকারী মাওলানা মোশাররফ হোসেন সত্যিই তার ঘোষণাপত্রের ৫
অনুচ্ছেদের বর্ণনায় নিজ ফাঁদে আটক হয়েছেন। মাওলানা মোশাররফ হোসেন-গং বিভন্ন সময়ে
এতেয়াতে নিযামুদ্দিন, কখনও আহালে শুরা কাকরাইল, কখন বা মুলধারার শুরা পরিচয়ে কাকরাইলের
মার্কাজ-এর প্রকৃত ও সঠিক লেটার হেড ব্যবহারে ও তদীয় তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ নামক
কল্পিত লেটার প্যাড ব্যবহারে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে/দপ্তরে এবং দেশ-বিদেশে
বিভ্রাান্তিকর কার্যক্রম বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সরকারের সংশ্লিষ্ট
মন্ত্রনালয় ও দপ্তরে বিগত ২৯-১০-২০১৮ তারিখে হক ও বিশ্ব শুরাপন্থী
পক্ষে এক দরখাস্ত দাখিল করেন।
(জ) বিশ্ব আমীর নিয়োগের চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত কেন বাংলাদেশের (যিনি বিশ্ব শুরা সদস্য নন) একজন শুরা স্বাক্ষরে হবে ? কেন ইজতেমায় উপস্থিত বিশ্বের সকল শুরা এবং বাংলাদেশের অপর ১০ জন শুরা স্বাক্ষর করেন নাই ?
(ঝ) কোন দেশে, স্থানে এমনকি কোন সমিতি/সংগঠনে স্বয়ং-ক্রিয় ভাবে আমীর বা নেতা হওয়ার নজির আছে কি ? নেই।
(ঞ) একদিকে স্ব-ঘোষিত নয়, অপর দিকে স্বয়ং-ক্রিয়ভাবে,আবার মাশওয়ারা/পরামর্শ মাধ্যমে ;- এ সবই যে মিথ্যা,বিভ্রান্তিকর ও
বিপরীত মুখী তাতে বিন্দুমাত্র সন্দেহ আছে কি ?
বংশ ও রক্ত পরিচয় পর্বঃ
পবিত্র কোরআন ও বিভিন্ন ঘটনায় বর্ণিত বংশ ও রক্ত পরিচয় ঈমান ও ইসলামের ভিত্তি নয়; নিজের আমল,আখলাক ইসলাহ-এর উপর নির্ভরশীল বিধায়,আল্লাহ ও রাসুলগণ এর বিরুদ্ধে বিষোদ গারকারী এবং সাহাবা (রাঃ) গণ বিরুদ্ধে আশালীন বাক্য ও মন্তব্যকারী বিতর্কিত মাওলানা সা’দ-কে হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) এর বংশধর পরিচয়ে পরম সম্মানিত আবু বকর সিদ্দিক (রাঃ) কে অসম্মান এবং স্ব-ঘোষিত বিশ্ব-আমীরের অগ্রহণযোগ্যতা ও অসততা প্রকাশিত হয়েছে। স্মরণ যোগ্য যে,ইসলাম সার্বজনীন ধর্ম। জাতি,বর্ণ,গোত্র,বংশ পরিচয়ের সাথে ঈমান ও ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। বরং ব্যক্তি,পরিবার বা স্থান কেন্দ্রিক ধারনা পোষণ ও প্রচার ঈমান ও ইসলামের আদর্শ পরিপন্থী ও নিষিদ্ধ বটে।
(৩) প্রচলিত আইনে শাস্তি ও সংবিধান পর্বঃ
(ক) মাওলানা মোশাররফ হোসেন বা তার স্বয়ংক্রিয় বিশ্ব আমীরের বিরুদ্ধে কোন মিথ্যা অপবাদ বা অপপ্রচার চালানো হয় নি ও হচ্ছে না। কথিত স্বয়ং-ক্রিয় বিশ্ব আমীর কবে,কোথায়,কখন,কোন তারিখে কোরআন-সুন্নাহ,হাদিস,ইজমা বিরোধী মনগড়া ব্যাখ্যা এবং নবী-রাসুলগণ ও সাহাবাগণ বিরুদ্ধে অপমানকর ও অশালীন বাক্য ব্যবহার ও বয়ান করেছেন তার অডিও,ভিডিও সারা বিশ্বে প্রচারিত ও বই আকারে বিভিন্ন ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। মাওলানা মোশাররফ হোসেন গং-এর স্বয়ং-ক্রিয় বিশ্ব আমীর প্রচারিত বিভ্রান্তিকর ও ঈমান পরিপন্থী বয়ান/বক্তৃতার মধ্যে আংশিক নিন্ম রুপঃ
(১) আল্লাহর হাতে হেদায়েত নেই, আল্লার হাতে হেদায়েত থাকলে নবীদের পাঠাতেন না।
(২) রাসুল (সঃ) বিবাহের সুন্নত ছেড়ে বিবি জয়নাব (রাঃ)’র বিবাহে গোস্ত রুটি দিয়ে ওলিমা করায় নিজেই কষ্টে পতিত হন।
(৩) আল্লাহ’র আহŸানে হযরত মুসা (আঃ) তাঁর কওম ছেড়ে কিতাব আনতে তুর পাহাড়ে অবস্থানের কারণে ৫ লক্ষ ৮৮ হাজার মানুষ গোমরাহীতে পতিত হয়।
(৪) হযরত ইউসুফ (আঃ) গায়রুল্লার সাহায্য চাওয়ায় অতিরিক্ত ৭ বছরের জেল খাটেন।
(৫) হযরত যাকারিয়া (আঃ) মাখলুক (গাছ) এর কাছে আশ্রয় প্রার্থনায় দ্বি-খন্ডিত হন।
(৬) নামাজে বা নামাজের বাহিরে অর্থ না বুঝে কোর’আন পড়লে ওয়াজিব তরক করার গোনাহ হবে।
(৭) ক্যামেরাওয়ালা মোবইল পকেটে রাখাবস্থায় নামায হয় না ।
(৮) মোবাইলে স্ক্রীনে কোর’আন পড়া প্রস্রাবের পাত্রে দুধ পান করা।
(৯) মাদ্রাসায় অর্থ সাহায্য দ্বারা কোন নেকী হয় না। এমন কি মাদ্রাসায় যাকাত দিলে যাকাত আদায় হয় না।
(১০) মাদ্রাসায় পড়িয়ে বেতন নেওয়া বেশ্যাদের কামাই-এর চেয়েও নিকৃষ্ট। তাই বেশ্যা মহিলারা ইমাম-মুয়াজ্জিন,আলেম-ওলামার আগে বেহেস্তে যাবে।
(১১) সাহাবা (রাঃ) গণকে নাফরমান বলে আখ্যায়িত করা।
(১২) স্বয়ংক্রিয় বিশ্ব আমীরের ভ্রান্ত ও ভ্রষ্ট মত-বিরোধী ওলামাগণকে নিকৃষ্ট বা ওলামা’য়ে ‘ছ‚’ মর্মে গণ্য করা।”
মাওলানা মোশাররফ হোসেন গং-এর স্বয়ংক্রিয় বিশ্ব আমীর এরকম অসংখ্য বিকৃত, ভ্রান্ত এবং কোরআন ও সুন্নাহ বিরোধী অবস্থান গ্রহণ ও বয়ান/বক্তৃতা ও মন্তব্য করে আসছেন।
(খ) স্বয়ংক্রিয় বিশ্ব আমীর দাওয়াত-ই-তাবলীগের মেহনতকে নস্যাৎ করার অসৎ উদ্দেশ্যে মাওলানা ইলিয়াস রহঃ-এর প্রদর্শিত এবং অদ্যবধি সারা বিশ্বে অনুসৃত সর্বজন গ্রহণীয় নিয়ম-নীতি পরিবর্তনে ও নিজ মত প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হন ও আছেন। তন্মধ্যে, মসজিদের বাহিরে দ্বীনের দাওয়াত দেওয়াকে নিষিদ্ধ করা,বিভিন্ন শ্রেণী, পেশা ও সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে দাওয়াত দেওয়া বন্ধ করা এবং নিজ মনগড়া নতুন নতুন বিষয় চালু করা অন্যতম।
(গ) উপরি বর্ণিত প্রকারে মাওলানা মোশাররফ হোসেন গং-এর স্বয়ংক্রিয় বিশ্ব আমীর ও তার অনুসারীগণ রাসুল (সঃ) ও সাহাবা (রাঃ) এর বিরুদ্ধাচরন ও দাওয়াত ও তাবলীগের মূলধারা পরিপন্থী র্কমতৎপরতায় লিপ্ত আাছেন। অতঃপর, “ এতেয়াতে নিযামুদ্দিন, মূলধারার তাবলীগ বা আহালে শুরা কাকরাইল” পরিচয়ে সহজ,সরল সাধারণ মানুষ/মুসলমানকে ধোকা দিয়ে আসছেন। সুতরাং,দাওয়াত ও তাবলীগের মূলধারা থেকে বের হয়ে বহিরাগত ব্যক্তিবর্গের সাথে হাত মিলিয়ে বিচ্ছিন্ন কিছু ব্যক্তি এই মেহনতকে ক্ষতিগ্রস্থ করছে মর্মে মাওলানা মোশাররফ হোসেন-এর বর্ণনা সম্পুর্ন মিথ্যা ও তদীয় নগ্নতার বহিঃপ্রকাশ।
ঘ) গত ২৮-০৪-২০১৮ তারিখে এসএ টিভি প্রচারিত ভিডিও হ’তে প্রতীয়মান, কাকরাইল মসজিদ আক্রমনে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা বাস যোগে প্রধান বিচারপতির বাসা সংলগ্ন রমনা পার্কের পার্শ্বে নেমে কাকরাইলে ঢুকে তাবলীগে সময় লাগানোর উদ্দেশ্যে কাকরাইল মসজিদে অবস্থানরত নিরীহ ব্যক্তিবর্গের উপর আক্রমণ চালায় ও রক্তাক্ত করে। তন্মধ্যে অধিকাংশ ছিল বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র। অনুরুপে ১-১২-২০১৮ তারিখে টঙ্গী এস্তেমা মাঠের হেফজখানায় কোরআন পাঠরত শিশুদের উপর ভ্রান্ত বিশ্ব আমীরের অনুসারী মাওলানা মোশাররফ গং-এর নির্মম আক্রমন ও পাঁচ হাজারের ও অধিক মানুষ আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
বিধায়, কোমলমতি মাদ্রাসা ছাত্রদের ব্যবহার-সহ তদ-সংক্রান্ত সকল বিবরণ সম্পূর্ণ রুপে মিথ্যা, বানোয়াট, তঞ্চকতাপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও বাস্তবতা বিবর্জিত এবং প্রকৃত সত্য পরিপন্থী। (যে কারণে এদেশের ধর্মপ্রাণ সাধারণ মুসলমান নিজেদের ঈমান ও আমলের হেফাজতে মাওলানা মোশাররফ হোসেন গং-এর স্বয়ংক্রিয় বিশ্ব আমীর-এর ইসলাম পরিপন্থি কার্যক্রম প্রতিরোধে স্বতঃস্ফুর্ত ভ‚মিকা পালনে বাধ্য হয়েছেন)
উপরি বর্ণিত কারণে মাওলানা মোশাররফ হোসেন-এর ঘোষণাপত্রের ৩ নং অনুচ্ছেদে বর্ণিত বিতর্কিত মাওলানা সা’দ ও তার এদেশীয় অনুসারীগণ তদীয় ভ্রান্ত আকীদায় দেশের সহজ-সরল,নিরীহ ধর্মপ্রাণ মসুলমানকে বিভ্রান্ত,বিভাজন ও বিভেদ সৃষ্টি করে ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধ ধ্বংস করছে এবং দেশের শান্তি-শৃংখলা বিঘিœত করছে। বিধায়,উক্ত অনুচ্ছেদে উল্লেখিত দন্ডবিধি,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি,ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও ধারা সমূহ ও সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ স্বয়ং-ক্রিয় আমীরের বিভ্রান্তকারী অনুসারী মাওলানা মোশাররফ গং-এর উপর প্রয়োগ ও প্রযোজ্য।
(৪) এতেয়াতে সা’দ ও নিযামুদ্দিন মান্যকারী এবং বাংলাদেশ পর্বঃ
বিশ্বব্যাপী শান্তিপূর্ণ ভাবে পরিচালিত তাবলীগের মেহনত ও ইসলামী মূল্যবোধ ধ্বংস এবং মুসলমানের মধ্যে বিভেদ বিচ্ছেদ কার্যকর করতে মাওলানা মোশাররফ হোসেন গং-এর স্বয়ংক্রিয় বিশ্ব আমীর-মাওলানা সাদ সকল প্রকার শিষ্টাচারের বাহিরে যেয়ে ২০১৫ সালের ২৩ আগষ্ট তারিখে নিজেকে বিশ্ব আমীর ঘোষণা ও তাকে আমীর না মানলে জাহান্নামে যাওয়ার হুমকি/ফতোয়া প্রদান করেন। ফলে,তার ভ্রান্ত মত বিরোধীদের উপর নেমে আসে নির্যাতন, অত্যাচার। রক্তাক্ত হয় নিযামুদ্দিন মার্কাজ। তার ভ্রান্ত মতাদর্শ বিরোধীদের নিরাপত্তায় নিয়োগ হয় পুলিশ। নিযামুদ্দিন মার্কাজ পরিণত হয় স্বয়ংক্রিয় বিশ্ব আমীর-এর নিযুক্ত সন্ত্রাসীদের আখড়ায়। উল্লেখিত খবর ও তথ্য বাংলাদেশসহ ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমে ও ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাদ্রাসার ওয়েব সাইটে বিভিন্ন সময়ে প্রকাশিত হয়।
অতঃপর মাওলানা সাদ ও তার পিতার ওস্তাদসহ সুদীর্ঘ ৫০/৬০ বছরের পুরানো মুরুব্বিগণ এবং দীর্ঘ দিনের ত্যাগী মুকিমিন (স্থায়ী ভাবে অবস্থানকারী) গণ বাধ্য হন নিযামুদ্দিন মার্কাজ ত্যাগে। (দিল্লী ও মুম্বাই-এ প্রতিষ্ঠিত হয় অপর দুইটি মার্কাজ। যেখান থেকেই প্রবণী,ত্যাগী ও হকপন্থী এবং বিগত ১৯৯৩ সালে গঠিত শুরা পদ্ধতি মোতাবেক দাওয়াত-ই-তাবলীগ এর বিশ^ব্যাপী কার্যক্রম চলছে)। আর,নিযামুদ্দিন পরিণত হয়েছে বিতর্কিত,স্বয়ং-ক্রিয় ও স্ব-ঘোষিত মাওলানা সা’দ-এর ব্যক্তি মালিকানাধীণ আখড়ায় বা খানকায়।
বিধায়,মাওলানা মোশাররফ হোসেন-এর ঘোষণাপত্রের ৪ নং অনুচ্ছেদের প্রথমে বর্ণিত নিযামুদ্দিন বিশ্ব মার্কাজ ও বিশ্ব আমীর মাওলানা সা’দ-এর নির্দেশে দাওয়াত ও তাবলীগ পরিচালনার বর্ণনা দেশ ও দুনিয়াবাসীর সাথে প্রতারনা মাত্র।
(ক) মাওলানা সা’দ-এর বিতর্কিত কার্যক্রম কোরআন,সুন্নাহ ও ইসলামী মূল্যবোধ পরিপন্থী হওয়ায়,সরকার বিগত ২০১৭ বিশ্ব ইজতেমায় আসতে না দে’য়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে বিধায়, ১১-০১-২০১৭ তারিখে দিল্লী এয়ারপোর্ট থেকে তাকে ফেরৎ পাঠানো হয়। অতঃপর তার অনুরোধে বিশেষ শর্ত সাপেক্ষে পরদিন অনুমতি প্রাপ্ত হয়।
(খ) বিতর্কিত মাওলানা সাদ ২০১৭ এর বিশ্ব ইজতেমায় উপস্থিত হয়ে শর্ত ভঙ্গ ও তার ভ্রান্ত মতাদর্শ প্রতিষ্ঠায় প্রচার ও কার্যক্রম অব্যহত রাখেন। ফলে বিতর্কিত ও বিভ্রান্তকারী স্বয়ং-ক্রিয় আমীর মাওলানা সাদ ফেতনা হতে দেশ ও বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের হেফাজতে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামাবৃন্দসহ কাকরাইল মার্কাজের শূরা সদস্যগণসহ মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সামরিক সচিব এবং বিভিন্ন গোয়েন্দা ও নিরাপত্তা সংস্থার কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিগত ২৯-১০-২০১৭ তারিখে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মাওলানা মোশাররফ হোসেন গং তদীয় চক্রান্ত হতে নিজেদের আড়াল করতে কাকরাইল মার্কাজ-এর জন্ম লগ্ন হতে ব্যবহৃত পরিচয়,অফিসিয়াল লেটারহেড ও ঠিকানা পরিবর্তন ও কার্যকরে ১০ অক্টোবর,২০১৮ তারিখে সিদ্ধান্তের উল্লেখ করেন, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। উক্ত ১০/১০/১৮ তারিখ পরবর্তী ১৬-১০-২০১৮ তারিখে মাওলানা মোশাররফ হোসেন-এর এদেশীয় প্রভু ওয়াসিফ ইসলাম (প্রকৃত নাম ওয়াসিফুল ইসলাম) নামে কাকরাইলের মার্কাজ এর প্রকৃত ও সঠিক লেটার হেড ব্যবহারে ইংরাজী ভাষায় “Invitation Letter of Annual Ijtima at Tongi,Bangladesh,2019 শিরোনামে Respected Zimmadar/Shura Brothers, All Countries of the world ”এবং বাংলা ভাষায় Bangladeshi Brothers শিরোনামে পৃথক দুটি চিঠি লেখেন। পরবর্তী ২৯-১০-২০১৮ তারিখে উক্ত ওয়াসিফ ইসলাম তুরষ্ক-এর আংকারাস্থ বাংলাদেশ হাই কমিশনার বরাবরে কাকরাইল মার্কাজ এর প্রকৃত ও সঠিক লেটার হেড ব্যবহারে অপর একটি চিঠি পাঠান। এতদ-ব্যতীত মাওলানা মোশাররফ হোসেন বর্ণিত ১০-১০-২০১৮ তারিখে অফিসিয়াল লেটার প্যাড ব্যবহারে কথিত সিদ্ধান্ত ও মিথ্যা কাহিনীর বহু পূর্বে বিগত জুলাই,২০১৮ মাসে তদীয় কথিত তাবলীগ জামাত বাংলাদেশ প্যাডে লিখিত চিঠির কপি সংরক্ষিত আছে। যাহা প্রয়োজনানুযায়ী যথাস্থানে ব্যবহার হবে। বিধায়, স্বয়ং-ক্রিয় বিশ্ব আমীরের এদেশীয় অন্ধ অনুসারী মাওলানা মোশাররফ হোসেন-গং এর মহা প্রতারনা দেশবাসীর নিকট সুষ্পষ্ট।
(৬) স্বয়ং-ক্রিয় আমীরের ঘোষিত ৫ দিনের জোড় ও ইজতেমা পর্বঃ
দেশ ও জনগণ প্রত্যাখাত বিতর্কিত মাওলানা সা’দ কাকরাইল মার্কাজ মসজিদে অবস্থানকালীণ (দেশে ফেরৎ-এর আগে) তার এদেশীয় সহযোগী ওয়াসিফুল ইসলাম,খান শাহাবুদ্দিন নাসিম, ইউনুস শিকদার ও তদ-অনুসারীগণ বিশ^ ইজতেমা ২০১৮ পন্ড করার প্রচেষ্টা চালায় এবং পরবর্তীতে বিশ্ব ইজতেমা বাংলাদেশে হবে না,মালোশিয়ায় হবে মর্মে প্রপাগান্ডা ছড়ায়। মাওলানা মোশাররফ হোসেন তখনও দ্বিগবাজী দেন নি বা বর্ণিত চিঠির উপর ঈমান নিবেদনে সমর্থ হন নি। বরং, বিশ্ব ইজতেমা ২১০৮ এ উপস্থিত থাকেন।
আল্লাহপাকের মেহেরবানী ও সরকারের যথাযথ পদক্ষেপে প্রত্যাখাত মাওলানা সা’দ ও তার অনুসারীদের অপচেষ্টা সত্বেও সুষ্ঠু ও সুশৃংখল ভাবে বিশ্ব ইজতেমা ২০১৮ (উভয় পর্ব) সম্পন্ন হয় এবং মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহোদয় ও বর্তমান পুলিশ প্রধান (আইজিপি) মহোদয়ের উপস্থিতিতে জানুয়ারী ১৮,১৯,২০ এবং ২৫,২৬,২৭ তারিখে বিশ^ ইজতেমা ২০১৯ অনুষ্ঠিত হবে মর্মে সিদ্ধান্ত হয়। তৎপর সারা বিশে্ব প্রচার ও উহার প্রস্তুতি ব্যহত আছে।
উল্লেখ্য, মালোশিয়া সরকার বিগত ৩,৪,ও ৫ নভেম্বর,২০১৮ তারিখে অনুষ্ঠিত কুয়ালালামপুর ইজতেমায় বিতর্কিত মাওলানা সাদ-কে যেতে দেন নি। ওই সময়ে বিতর্কিত ও মাওলানা সাদ সৌদি আরব গমন করেন। যে ছবি গণ-মাধ্যম ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচারিত হয়। যা ঢাকবার জন্য মওলানা মোশাররফের এদেশীয় প্রভু স্বয়ং-ক্রিয় আমীর-এর প্রতিভ‚ ওয়াসিফুল ইসলাম এক অডিও বার্তা প্রকাশ করে জানান, এ বছর কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত ইজতেমায় নাকি স্বয়ং-ক্রিয় আমীর-এর যাওয়ার কোন কথা ছিল না। সকল প্রকার মান সম্মানের মাথা খেয়ে একাধিকবার প্রত্যাখাত হয়েও বাংলাদেশে আসতে লালায়িত স্বয়ং-ক্রিয় আমীর ঘোষিত মালোশিয়া বিশ্ব ইজতেমায়
যেতে না চাওয়ার দাবী কতখানি প্রতারণাপূর্ণ তা অনুমেয়।
উপরি বর্ণিত অবস্থাধীণে,বিতর্কিত ও স্বয়ং-ক্রিয় আমীর মাওলানা সা’দ এবং তার এদেশীয় ভ্রান্ত অনুসারী মাওলানা মোশাররফ হোসেন গং-এর হাত থেকে আল্লাহপাকের পবিত্র দ্বীন রাসুল (সাঃ) এর আদর্শে এবং হযরত সাহাবা (রাঃ) এর পদাঙ্ক অনুসরনে হযরত মাওলানা ইলিয়াস (রাহঃ), হযরত মাওলানা ইউসুফ (রাহঃ) এবং হযরত মাওলানা ইনামুল হাসান (রাহঃ) এর রেখে যাওয়া উসুল এবং দারুল উলুম দেওবন্দ অনুসারী হাক্কানী ওলামাগণের পরমর্শে সারা বিশ্বে সমুন্নত রাখা প্রতিটি মুসলমানের একান্ত ঈমানী দায়িত্ব ও কর্তব্য।
আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে এদেশের হাক্কানী ও বরেণ্য ওলামায়ে কেরামবৃন্দের পরামর্শে ভ্রান্ত আকীদার বিতর্কিত মাওলানা মোশাররফ হোসেন গং ও তদীয় স্বয়ং-ক্রিয় আমীর-এর মূলধারা/ এতেয়াতিদের প্রতারাণা ও বিভ্রান্তি থেকে দেশের মুসলমানের ঈমান রক্ষায় পাড়ায়,মহল্লায়,মসজিদে,মসজিদে,গ্রামে,ইউনিয়নে,থানায়,জেলায় সকলকে সতর্ক করি। আল্লাহ পাকের কাছে হক্বের বিজয় ও বাতিলের অবসান কামনা করি।
বাতিলের ধোকা থেকে আল্লাহপাক সকল মুসলমানকে হেফাজত করুন।
আল্লাহ আমাদের সহায় হোন (আমীন)।
ওয়াস সালাম
মাঃ জুবায়ার
মাওলানা মোহাম্মদ হোসেন
পক্ষে
আহ্লে শুরা, বাংলাদেশ।
Comments
Post a Comment