ওয়াজাহাতী জোড়- ২০১৮ এর মাশোয়ারার ফয়সালা সূহ-২৩/০৭/২০১৮
আলহামদুলিল্লাহ আজকে সকালে মোহাম্মদপুর মারকাজ মসজিদে (কবরস্থান মসজিদ) আগামী ২৮ জুলাই ২০১৮ সারা দেশ ব্যাপী ওজাহাতি জোড়কে সামনে রেখে জোড়ের কামিয়াবির জন্য মাশোয়ারা সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
রোজ- সোমবার
------------------------------
মাশোয়ারায় উপস্থিত ছিলেন
মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুক সাহেব,
মাওলানা মাহফুজুল হক সাহেব,
মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী সাহেব,
মাওলানা কেফায়েতুল্লাহ আজহারী সাহেব,
মুফতি বোরহান সাহেব,
কাকরাইল মসজিদের মুরুব্বি ইঞ্জিনিয়ার হাজী আব্দুল মুকিত সাহেব রহ. এর ছেলে মাওলানা আব্দুল বার সাহেব,
মাওলানা আবু জাফর সাহেব,
ইঞ্জিনিয়ার আনিছ ভাই সহ
আরো দেশ বরেণ্য ওলামায়ে কেরাম এবং মুবাল্লীগ সাথী বৃন্দ।
মাশোয়ারায় শুরুতে মাওলানা মাহফুজুল হক সাহেব আল্লাহ তায়ালার শোকরিয়া আদায় করে বলেন,
আলহামদুলিল্লাহ এক জামাত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে দেখা করে এই জোড়ের দাওয়াত দিলে এবং অনুমতি চাইলে ওনি জোড়ের দাওয়াত কবুল করেন এবং অনুমতি প্রদান করেন।
আরেক জামাত মোহাম্মদপুরের স্থানীয় এমপি জাহাঙ্গীর কবির নানক সাহেবের সাথে দেখা করে দাওয়াত দিলে ওনিও দাওয়াত কবুল করেন। ওনারা দু'জনই জোড়ের কামিয়াবির জন্য সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন।
আরেক জামাত বাংলাদেশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, বেফাক বোর্ডের চেয়ারম্যান ও হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম আল্লামা আহমদ শফি সাহেব দা.বা. এর সাথে দেখা করলে হুজুর দাওয়াত কবুল করেন।
অদ্য মাশোয়ারায় নিম্নোক্ত বিষয়গুলো ফায়সালা হয়-
ফায়সাল- মাওলানা মাহফুজুল হক সাহেব দা.বা.
১) ইনশাআল্লাহ মজমা শুরু হবে সকাল ৮.০০টায় এবং শেষ হবে ১২.০০টা বা তার কিছুক্ষণ পর।
২) জেলা থেকে আসবে
প্রত্যেক ইউনিয়ন থেকে কমপক্ষে ১০ জন, প্রত্যেক থানা থেকে কমপক্ষে ২০ জন এবং জেলা শহর থেকে আসবেন কমপক্ষে ১০০ জন
বিঃদ্রঃ ওলামায়ে কেরাম এই তালিকার বাইরে থেকে আসবেন। এই সংখ্যা থেকে বেশী সাথীও আসতে পারবে।
৩) ঢাকা শহরের প্রত্যেক মসজিদের মসজিদওয়ার জামাত থেকে কমপক্ষে ১০ জন। এর থেকে বেশী সাথীও আসতে পারবে।
৪) ঢাকার আশেপাশের জেলা থেকে আসবে
নারায়ণগঞ্জ থেকে কমপক্ষে ৫০০০ জন, মুন্সীগঞ্জ থেকে কমপক্ষে ২০০০ জন, মানিকগঞ্জ থেকে কমপক্ষে ২০০০ জন এবং নরসিংদী থেকে কমপক্ষে ২০০০ জন।
৫) কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে সাথীরা মাশোয়ারা করে মোনাছেব শিক্ষক ছাত্ররা আসবে।
৬) মাদ্রাসার ছাত্র আসবে শুধুমাত্র তাখাসুস এবং দাওরায়ে হাদীস ছাত্ররা।
৭) বিভিন্ন থানা, জেলা, এলাকার সাথীরা মসজিদের ইমাম সাহেব এবং ওলামা হযরতগণকে মোনাছেব এন্তেজাম করে নিয়ে আসবেন।
৮) জোড়ের কামিয়াবির জন্য দোয়ার জামাত আগামী বৃহস্পতিবার থেকে শনিবার পর্যন্ত কাকরাইল মসজিদ থেকে এবং মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে থাকবেন।
বিঃদ্রঃ প্রত্যেকে জায়নামাজ, তছবিহ, মেছওয়াক এবং খাবার পানি সাথে নিয়ে বেশী থেকে বেশী সাথী হাজির করার চেষ্টা করি। প্রত্যেকে এই ওয়াজাহাতি জোড়ের কামিয়াবির জন্য আমল জমা করে দোয়ার এহতেমাম করি।
Comments
Post a Comment