বাংলাদেশের তাবলীগের সংকটের নেপথ্যে... যে নাম # লাল কালিতে লেখা থাকবে ওয়াসিফুল ইসলাম
দারুল উলুম দেওবন্দ ইসলাহর ফিকির করছে,
আর বাংলাদেশের ওয়াসিফুল ইসলাম সেই ইসলাহর পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে
ভারতের এক হযরতের ইসলাহর জন্য দারুল উলুম দেওবন্দ ফিকির করছে, আর বাংলাদেশের ওয়াসিফুল ইসলাম উনার সেই ইসলাহর পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওয়াসিফুল ইসলাম নিজস্বার্থ হাসিলের জন্য ভারতের সেই হযরতের প্রতি তোষামোদি করে যাচ্ছে। এই ধরণের তোষামোদকারীরা তোষামোদ করে কিছু ফায়দা হাসিল করবার জন্য। এরা শুভকামী নয়। বরং যে শুভকামী, সে তার মঙ্গল চায়, তার সংশোধন চায়।
তোষামোদকারী বা চাটুকাররা সব সময়ই অন্যের হেদায়াতের পথে বাধা। মানুষ বিপথগামী হয় তোষামোদকারীর তোষামোদির কারণে। মূসা (আঃ) এর দাওয়াতে ফেরআউন প্রায় মুসলমান হয়েই গিয়েছিল। বিবি আসিয়া (রাযিঃ) এর কাছে পরামর্শ চাইলে, তিনি বলেছিলেন- “তুমি দ্রুত যাও মূসার (আঃ) কথা মেনে নাও, বরং মেনে নিয়েই আমার কাছে আসতে। এ ব্যাপারে পরামর্শের কোন প্রয়োজন ছিল না।” ফেরআউন যাওয়ার পথে হামানের সঙ্গে পরামর্শ করলে, এই চাটুকার বলল- “আপনি আমাদের রব, আপনি কেন মূসার (আঃ) কাছে ছোট হবেন?” শেষ পর্যন্ত সে কাফেরই রয়ে গেল।
ওয়াসিফুল ইসলামের তোষামোদি কার্যকলাপের মধ্যে ছিল-
(১) সারা দুনিয়ার উলামা-হযরত ও তাবলীগের মুরুব্বীদের অবস্থানকে উপেক্ষা করে সেই হযরতকে টঙ্গী ইজতেমায় নিয়ে এসে বয়ান করানো,
(২) দেওবন্দের প্রধান মুফতি খায়েরাবাদী সাহেবকে টঙ্গী ময়দান থেকে বের করে দেয়া,
(৩) ভারতের সেই হযরতকে ‘বিশ্ব আমীর’ ও ‘হযরতজী’ উপাধিতে ভূষিত করা।
ভারতের সেই হযরতকে টঙ্গীতে নিয়ে এসে বয়ান করিয়ে হযরতকে ওয়াসিফুল ইসলাম দেখিয়ে দিতে চেয়েছে যে, সারা দুনিয়ার উলামা-হযরত ও তাবলীগের মুরুব্বীগণ যাই বলুক না কেন টঙ্গীর লাখো-লাখো সাথী হযরতের সাথেই আছে। হযরতের ব্যাপারে ফতোয়া প্রদানকারী দেওবন্দের প্রধান মুফতি সাহেবকে টঙ্গী ময়দান থেকে বের করে দিয়ে ওয়াসিফুল ইসলাম দেখিয়ে দিতে চেয়েছে যে, সেই হযরতের জন্য ওয়াসিফুল ইসলাম কতোটা নিবেদিত! আর সবশেষে হযরতকে ‘বিশ্ব আমীর’ ও ‘হযরতজী’ উপাধীতে ভূষিত করে বুঝাতে চেয়েছে যে, পুরো দুনিয়াই হযরতের সাথে আছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানীর যখন পতন হচ্ছে। ফোর্স অগ্রসর হচ্ছে আর জার্মানী পেছন দিকে আসছে, পরাজয় হচ্ছে ধীরে ধীরে। বার্লীন পর্যন্ত যখন এই বাহিনী পৌছে গেছে, তখনও হিটলারের চারপাশের তোষামোদকারী অফিসাররা হিটলারকে বলছিল যে “এখনো সম্পূর্ণ ইউরোপ আমাদের নিয়ন্ত্রনে”।
ভারতের সেই হযরতের হয়তো জানা নেই যে, উনার বয়ানের বই বিলির কারণে ২০১৪ সালের ৫ দিনের জোড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে এই টঙ্গী ময়দানেই সাথীদেরকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে এই ওয়াসিফুল ইসলাম গং। আর আজ এরাই উনাকে ইজতেমায় নিয়ে এসে বয়ান করিয়ে তোষামোদীর চেষ্টা করছে।
তোষামোদকারীর তোষামোদি মানুষকে অন্ধ করে ফেলে। ওয়াসিফুল ইসলামের মত তোষামোদকারীদের কারণে ভারতের সেই হযরত এখন উনার ‘প্রকৃত বন্ধু’ আর ‘প্রকৃত শত্রু’ চিনতে ব্যর্থ হচ্ছেন। ওয়াসিফুল ইসলামের তোষামোদি সেই হযরতকে তার অবস্থানের ব্যাপারে আরো বেপরোয়া করে তুলতে পারে।
এভাবে তোষামোদি করে ওয়াসিফুল ইসলাম নিজেরও ক্ষতি করছে, সেই হযরতেরও ক্ষতি করছে।
https://ahalanbroadcast.blogspot.com
আর বাংলাদেশের ওয়াসিফুল ইসলাম সেই ইসলাহর পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে
ভারতের এক হযরতের ইসলাহর জন্য দারুল উলুম দেওবন্দ ফিকির করছে, আর বাংলাদেশের ওয়াসিফুল ইসলাম উনার সেই ইসলাহর পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ওয়াসিফুল ইসলাম নিজস্বার্থ হাসিলের জন্য ভারতের সেই হযরতের প্রতি তোষামোদি করে যাচ্ছে। এই ধরণের তোষামোদকারীরা তোষামোদ করে কিছু ফায়দা হাসিল করবার জন্য। এরা শুভকামী নয়। বরং যে শুভকামী, সে তার মঙ্গল চায়, তার সংশোধন চায়।
তোষামোদকারী বা চাটুকাররা সব সময়ই অন্যের হেদায়াতের পথে বাধা। মানুষ বিপথগামী হয় তোষামোদকারীর তোষামোদির কারণে। মূসা (আঃ) এর দাওয়াতে ফেরআউন প্রায় মুসলমান হয়েই গিয়েছিল। বিবি আসিয়া (রাযিঃ) এর কাছে পরামর্শ চাইলে, তিনি বলেছিলেন- “তুমি দ্রুত যাও মূসার (আঃ) কথা মেনে নাও, বরং মেনে নিয়েই আমার কাছে আসতে। এ ব্যাপারে পরামর্শের কোন প্রয়োজন ছিল না।” ফেরআউন যাওয়ার পথে হামানের সঙ্গে পরামর্শ করলে, এই চাটুকার বলল- “আপনি আমাদের রব, আপনি কেন মূসার (আঃ) কাছে ছোট হবেন?” শেষ পর্যন্ত সে কাফেরই রয়ে গেল।
ওয়াসিফুল ইসলামের তোষামোদি কার্যকলাপের মধ্যে ছিল-
(১) সারা দুনিয়ার উলামা-হযরত ও তাবলীগের মুরুব্বীদের অবস্থানকে উপেক্ষা করে সেই হযরতকে টঙ্গী ইজতেমায় নিয়ে এসে বয়ান করানো,
(২) দেওবন্দের প্রধান মুফতি খায়েরাবাদী সাহেবকে টঙ্গী ময়দান থেকে বের করে দেয়া,
(৩) ভারতের সেই হযরতকে ‘বিশ্ব আমীর’ ও ‘হযরতজী’ উপাধিতে ভূষিত করা।
ভারতের সেই হযরতকে টঙ্গীতে নিয়ে এসে বয়ান করিয়ে হযরতকে ওয়াসিফুল ইসলাম দেখিয়ে দিতে চেয়েছে যে, সারা দুনিয়ার উলামা-হযরত ও তাবলীগের মুরুব্বীগণ যাই বলুক না কেন টঙ্গীর লাখো-লাখো সাথী হযরতের সাথেই আছে। হযরতের ব্যাপারে ফতোয়া প্রদানকারী দেওবন্দের প্রধান মুফতি সাহেবকে টঙ্গী ময়দান থেকে বের করে দিয়ে ওয়াসিফুল ইসলাম দেখিয়ে দিতে চেয়েছে যে, সেই হযরতের জন্য ওয়াসিফুল ইসলাম কতোটা নিবেদিত! আর সবশেষে হযরতকে ‘বিশ্ব আমীর’ ও ‘হযরতজী’ উপাধীতে ভূষিত করে বুঝাতে চেয়েছে যে, পুরো দুনিয়াই হযরতের সাথে আছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানীর যখন পতন হচ্ছে। ফোর্স অগ্রসর হচ্ছে আর জার্মানী পেছন দিকে আসছে, পরাজয় হচ্ছে ধীরে ধীরে। বার্লীন পর্যন্ত যখন এই বাহিনী পৌছে গেছে, তখনও হিটলারের চারপাশের তোষামোদকারী অফিসাররা হিটলারকে বলছিল যে “এখনো সম্পূর্ণ ইউরোপ আমাদের নিয়ন্ত্রনে”।
ভারতের সেই হযরতের হয়তো জানা নেই যে, উনার বয়ানের বই বিলির কারণে ২০১৪ সালের ৫ দিনের জোড়ে টানা পাঁচ দিন ধরে এই টঙ্গী ময়দানেই সাথীদেরকে নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে এই ওয়াসিফুল ইসলাম গং। আর আজ এরাই উনাকে ইজতেমায় নিয়ে এসে বয়ান করিয়ে তোষামোদীর চেষ্টা করছে।
তোষামোদকারীর তোষামোদি মানুষকে অন্ধ করে ফেলে। ওয়াসিফুল ইসলামের মত তোষামোদকারীদের কারণে ভারতের সেই হযরত এখন উনার ‘প্রকৃত বন্ধু’ আর ‘প্রকৃত শত্রু’ চিনতে ব্যর্থ হচ্ছেন। ওয়াসিফুল ইসলামের তোষামোদি সেই হযরতকে তার অবস্থানের ব্যাপারে আরো বেপরোয়া করে তুলতে পারে।
এভাবে তোষামোদি করে ওয়াসিফুল ইসলাম নিজেরও ক্ষতি করছে, সেই হযরতেরও ক্ষতি করছে।
https://ahalanbroadcast.blogspot.com
Comments
Post a Comment